রাকিবুল হাসান আহাদ,বিশেষ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহে সেন্ট্রাল স্কুল এন্ড কলেজ নামে কোন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন নেই, অথচ স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি নামে প্রচার চালানো হয়।

২০০৮ সাল থেকে নানা সুবিধার কথা উল্লেখ করে চটকদার লিফলেট বিতরণ ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্কুলে ও কলেজে শ্রেণিতে ভর্তির নামে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হয়। অনুমোদনহীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কুলের শিক্ষার্থীদের ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ধারাকান্দা এবং শহরের একটি কলেজ থেকে পরীক্ষা দেওয়ানো হয় বলে প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছে । ময়মনসিংহ শহরের সিকেঘোষ রোড এবং চর ঈশ্বরদীয়ায় শাখা কার্যক্রমের কথা বলা হলেও একাধিক শাখার কোন নিবন্ধন নেই বলে জানা যায়। এ তথ্যের সত্যতা জানতে শুক্রবার ২৩ জুলাই বিকাল ৩.৪৫ ঘটিকায় সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক, শিবলী সাদিক খান, ওয়াহিদুজ্জামান আরজু তিন সদস্যের প্রতিনিধি সরেজমিনে ঘটনাস্থল চরঈশ্বরদিয়া উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেন্টাল কলেজ মোড় নামক স্হানে স্হানীয়দের সাক্ষাৎকার গ্রহণ কালে সাংবাদিক পরিচয়দানকারী যিনি দুটি পত্রিকার সম্পাদক দাবি করে বলেন “আমি আমিনুল ইসলাম এবং আমার স্ত্রী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি। আমার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বাণিজ্য নিয়ে কোনো লেখালেখি বা নিউজ হলে খুন করে লাশটা গুম করে ফেলব। এই প্রতিষ্ঠান নিরাপদে রাখার জন্য পত্রিকার ডোনার হয়ে সাংবাদিকের কার্ড সংগ্রহ করে গলায় ঝুলিয়ে রাখি। সাংবাদিক মেরে ফেললে কিছু হবে না ” তার এরুপ উদ্যোত আচরণে কোতোয়ালী থানার জিডি নং- ১২০৯ তাং ২৩/৭/২০২১ইং দায়ের করা হয়। ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয় নিবন্ধন করা প্রতিষ্ঠান । এর মধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম নেই।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০৮ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয় এ স্কুল অ্যান্ড কলেজটির। কিন্তু বোর্ডে এ নামের কোনো স্কুলেরই অনুমোদন নেই। সেন্ট্রাল স্কুল আ্যান্ড কলেজের একাডেমিক অনুমোদন ও পাঠদানের অনুমোদনসহ কোনো ধরনের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও তারা শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য ময়মনসিংহ বিভিন্ন বাড়িতে শিক্ষার্থীদের স্বল্প খরচ ও অল্প বেতনে পড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছে। কয়েকজন ছাত্র জানান, এখানে ভর্তির হওয়ার পর জানতে পারি এ প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখারই কোনো একাডেমিক স্বীকৃতি নেই। আমাদের অন্য একটি স্কুলের অধীন এসএসসি পরীক্ষা দিতে হয়েছে। এরই মধ্যে আমাদের কলেজে ভর্তির জন্য বলা হচ্ছে।অভিভাবকদের বোকা বানানো হচ্ছে । এদিকে আমিনুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগী জানান “আমাদের প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিউজ করা যাবেনা, নিউজ করলে হত্যা করা হবে। সরকার এ বিষয় দেখবে । চাকরি বৈধভাবেই করি, সাংবাদিকতা সাইজ করতে কার্ড গলায় ঝুলিয়ে রাখি”। জানা যায়,বোর্ডের অনুমোদন ছাড়া কোনো স্কুল কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারে না। কোনোভাবেই ভর্তি কার্যক্রম চালানো যাবে না। অনুমোদনহীন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যাপারে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ খোঁজ নিয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেবে বলে সূত্র জানিয়েছে।